বাংলা রচনা : সমাজ জীবনে দুর্নীতি

সমাজ জীবনে দুর্নীতি

সমাজ জীবনে দুর্নীতি

[ রচনা সংকেত : ভূমিকা, দুর্নীতির সংজ্ঞা, সমাজের কর্তাব্যক্তির দুর্নীতি, স্থানীয় প্রশাসনে দুর্নীতি, পুলিশ প্রশাসনে দুর্নীতি, ব্যবসায়ে দুর্নীতি, উপসংহার। ]

ভূমিকা : যে কোন দেশের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জীবন যাপনের অধিকার জন্মগত। কিন্তু সকল দেশের সকল মানুষই তাদের এ জন্মগত অধিকারটিকে যথাযথভাবে ভোগ করতে পারে না। নানাবিধ সামাজিক সমস্যা মানুষের সুষ্ঠু জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দেখা দেয়। এ সবের মধ্যে যেমন কিছু প্রকৃতি প্রদত্ত সমস্যা রয়েছে আবার কিছু রয়েছে মনুষ্যসৃষ্ট। মনুষ্যসৃষ্ট সব সমস্যার মধ্যে একটি হচ্ছে সামাজিক দুর্নীতি, যা সমাজে সুন্দর জীবন যাপনের অন্তরায় । 

দুর্নীতির সংজ্ঞা : স্বাভাবিকভাবে যা নীতি সমর্থিত নয় তাই দুর্নীতি। আরও পরিষ্কারভাবে বলা যায় মানুষ যখন স্বেচ্ছাচারিতার প্রকাশ ঘটিয়ে অন্যায়ভাবে নীতিকে লঙ্ঘন করে কোন কাজ করে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করে তাই দুর্নীতি। দুর্নীতি শব্দটি আমাদের জীবনের প্রাত্যহিকতার সাথে জড়িত বলে মনে হয়। কেননা রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সামাজিক জীবনে প্রতিদিনই আমরা কোন না কোন দুর্নীতির খবর জানছি। আমাদের দেশের এমন কোন পর্যায় নেই যেখানে দুর্নীতি হয় না। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে আমাদের পারিবারিক জীবন পর্যন্ত দুর্নীতির শিকড় ব্যাপ্তি লাভ করেছে। আর এ শিকড় এতই মজবুত যে ইচ্ছা করেও তা উৎপাটন করতে পারে না।

সমাজের কর্তাব্যক্তির দুর্নীতি : যুগ যুগ ধরে দুর্নীতি লালিত হয়ে আসছে বলে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি বিস্তার লাভ করেছে। সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ তাদের নিজস্ব গণ্ডির মধ্যে দুর্নীতি করে থাকে। দুর্বলের সম্পত্তি সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জোড় জবরদস্তি করে ভোগ করে। তারা দুর্বল ও দরিদ্র বলে কারও কাছে বিচার পায় না। স্থানীয় বিচার-আচার করতে গিয়ে সমাজের কর্তাব্যক্তিগণ টাকার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এতরতফা রায় ঘোষণা করে থাকে। এখানে অর্থ ও বিত্তের কাছে হীন দরিদ্র মানুষ ন্যায় বিচার পায় না। সমাজে ধর্ষণের মতো জঘন্যতম অপরাধ করেও ধর্ষকরা সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত করে বেঁচে যায়। কিন্তু নিরীহ দরিদ্র ধর্ষিত পরিবার বিচারের নামে কলঙ্কের কালিমা কপালে লেপন করে সমাজে মৃতের মতো বেঁচে থাকে ।

স্থানীয় প্রশাসনে দুর্নীতি : ইউনিয়ন পরিষদ সমাজ জীবনে স্থানীয় প্রশাসন হিসেবে কাজ করে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সব সদস্যই দুর্নীতির সাথে জড়িত। সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদের ওপরে জরিপ চালিয়ে দেখা যায় ১% ভাগ দুর্নীতিমুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ নেই। স্থানীয় উন্নয়ন যেমন রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট, ব্রীজ প্রভৃতি তৈরির জন্য যেসব বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদ পেয়ে থাকে তার শতকরা পঞ্চাশ ভাগ কাজও হয় না। বিভিন্ন ধরনের জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে চেয়ারম্যানের হাত পর্যন্ত পৌঁছাতে বরাদ্দকৃত অর্থের অর্ধেক শেষ হয়ে যায়। ফলে দুর্নীতির রাহুগ্রাসে উন্নয়ন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতির সর্বাপেক্ষা বড় চিত্র হচ্ছে দুস্থ মাতাদের জন্য যে চাল অথবা গম বরাদ্ধ দেয়া হয় তা অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদেই মাথাপিছু পাঁচ থকে দশ কেজি পর্যন্ত কর্তন করা হয়। এ কর্তনকে তারা আনানেয়ার খরচ বলে প্রচার করে থাকে। টেস্ট রিলিফ, কাবিখা নামে যেসব বরাদ্ধ দেয়া হয় তার কোন হদিসও জনগণ পায় না ।

পুলিশ প্রশাসনে দুর্নীতি : সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা, জানমালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য সমাজের অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী এ প্রশাসন মাধ্যমটি এতই দুর্নীতিগ্রস্ত যে তা বলা বাহুল্য। পুলিশ বাহিনী যেখানে রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা সেখানে তারা ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে। ফলে শুধু দেশে নয় বিদেশেও আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অসদুপায়ে অর্থ উপার্জন করে এ প্রশাসনের অফিসার থেকে শুরু করে সাধারণ সেপাই পর্যন্ত অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছে। ফলে সমাজে বেড়ে গেছে হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, ছিনতাইয়ের মতো জঘন্যতম ঘটনা। অর্থের বিনিময়ে অপরাধীরা ছাড়া পায় বলে তারা অপরাধ করতে কোন দ্বিধাবোধ করে না। এমন ঘটনাও পত্রিকান্তরে জানা যায় যে, সাধারণ মানুষকেও হয়রানি করে পুলিশ টাকা আদায় করে থাকে। কখনো যদি টাকা দিতে অপারগ হয় তাহলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ধরাশায়ী করা হয়। পুলিশের নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা অসহায় নারীরা পুলিশ কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছে এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত পুলিশের যাতে সাজা না হয় তার জন্য চলেছে উপর মহলে তদবীর, কখনো কখনো ঘটনা মিথ্যার মাধ্যমে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। তাছাড়া বাস-ট্রাকের চালকদের কাছ থেকে অবৈধ চাঁদা আদায় আমাদের দেশে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এসব বিষয় সাধারণের কাছে আর দুর্নীতি বলে মনে হয় না।

ব্যবসায়ে দুর্নীতি : ব্যবসায় বাণিজ্য সমাজ তথা দেশের উন্নতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ব্যক্তিদের কারণে এ মাধ্যমটি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে তারা যেমন কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বেশি নিয়ে দুর্নীতি করে, অন্যদিকে পণ্য সামগ্রীতে ভেজাল দিয়ে ক্রেতাসাধারণকে প্রতারিত করে দুর্নীতি করে। ফলে এ ধরনের দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের ঠকিয়ে রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়ে তোলে।

সমাজ জীবন দুর্নীতির কারণ : দুর্নীতি সমাজ দেহের একটি মারাত্মক ব্যাধি হলেও যুগ যুগ ধরে দুর্নীতি প্রতিটি সমাজে ছিল এবং বর্তমানেও আছে। আমাদের দেশের এমন একটি প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে দুর্নীতি নেই। কিন্তু একক কোন কারণে এ দুর্নীতি চলে না। এর পেছনে রয়েছে বহুবিধ কারণ। কারণগুলো নিম্নরূপ :

অজ্ঞতা : বাংলাদেশের সমাজ জীবনে দুর্নীতির একটি বড় কারণ হল অজ্ঞতা। দার্শনিক সক্রেটিস বলেছেন, মানুষ জেনে শুনে কখনো অপরাধ করে না।” বস্তুত বাংলাদেশে শিক্ষার হার কম বলে মানুষ দুর্নীতির কুফল সম্পর্কে অজ্ঞ। আর শিক্ষিত ব্যক্তিদের মধ্য দুর্নীতির প্রভাব দেখা গেলেও প্রকৃত শিক্ষা তারা গ্রহণ করে নি। দুর্নীতির ধর্মীয় ও সামাজিক কুফল সম্পর্কে অজ্ঞ বলেই এদেশের মানুষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে।

নৈতিক শিক্ষার অভাব : ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা মানুষকে সমাজ বিরোধী কাজ-কর্ম থেকে বিরত রাখে। কিন্তু আমাদের দেশে নৈতিক শিক্ষার প্রচলন দিন দিন লোপ পাচ্ছে। আধুনিক পিতা-মাতারা সন্তানদের নৈতিক শিক্ষার প্রতি আগ্রহ দেখান না। বিশেষ করে শহরে নৈতিক শিক্ষার বালাই নেই বললেই চলে। গ্রামে দু'চারটি টিকে থাকলেও এর প্রতি সরকার বা সমাজ সেবীদের কোন আগ্রহ নেই। তাই নৈতিক শিক্ষার অভাবে মানুষ দুর্নীতির কুফল সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে পারছে না বলে অব্যাহত ভাবে দুর্নীতির প্রসার ঘটছে।

দরিদ্র : দারিদ্র্য দুর্নীতির অন্যতম কারণ। বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ। এদেশের বেশিরভাগ মানুষই দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। অফিস আদালত কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সারা দিন পরিশ্রম করে তারা যে মজুরি পায় তাতে সংসার চালানো দায় হয়ে যায়। দারিদ্র্যক্লিষ্ট মানুষ সৎভাবে উপার্জনের অর্থ দ্বারা তার মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না বলে দুর্নীতির আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

ব্যক্তি স্বার্থ : ব্যক্তি স্বার্থের কারণেও অনেক সময় মানুষ দুর্নীতি পরায়ণ হয়। বর্তমান যান্ত্রিক যুগে বাংলাদেশের মানুষের মন যন্ত্রের মতোই পাষাণ হয়ে গেছে। তারা নিজের স্বার্থের কাছে অন্যের স্বার্থকে তুচ্ছ মনে করে। তাই সমাজের অন্যান্য সদস্যের স্বার্থে পদাঘাত করে তারা নিজের স্বার্থকেই বড় করে দেখে। আর স্বীয় স্বার্থ উদ্ধার করতে গিয়ে তারা দুর্নীতির আশ্রয় নিতে দ্বিধাবোধ করে না।

প্রশাসনিক দুর্বলতা : একটি দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন অনেকাংশই নির্ভর করে দক্ষ ও নিরপেক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর। প্রশাসন যদি সুষ্ঠুভাবে তার দায়িত্ব পালন না করে তবে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতি বেড়ে যায়। বাংলাদেশের বিগত সরকারগুলো সকল ক্ষেত্রে সুষ্ঠু প্রশাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই দুর্নীতিও বেড়ে গেছে বহুগুণে।

দেশপ্রেমের অভাব হলে সমাজের মানুষ দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে ওঠে। বর্তমানে এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজ স্বার্থের কাছে দেশের স্বার্থকে বলি দিচ্ছে। তারা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কালো বাজারি, দেশের সম্পত্তি আত্মসাৎ ও সম্পদ পাচারের মত ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে। ফলে দেশ তথা জনগণের স্বার্থ ধুলিসাৎ হচ্ছে।

বাংলাদেশে দুর্নীতি নিসরনের উপায় : বাংলাদেশের সমাজ জীবনে দুর্নীতির কারণে নানাবিধ অবক্ষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। নিম্নে দুর্নীতি নিরসনের উপায়সমূহ আলোচনা করা হল—
প্রশাসনিক উদ্যোগ : বাংলাদেশে প্রশাসনিক দুর্বলতা ও ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে দুর্নীতির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক ও উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশে উপযুক্ত সামাজিকীকরণের মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের বিকাশ, অবসর যাপন ও চিত্তবিনোদনের উপযুক্ত ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব। 

আইনের প্রয়োগ : দুর্নীতি দমনে আইন গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কোন দুর্নীতির কি সাজা হবে সে বিষয়ে যথাযথ আইন না থাকলে তবে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয়। আবার আইন থাকলেও ও তার যদি প্রয়োগ না হয় তবেও দুর্নীতির অবসান হবে না। আইন মানুষকে অন্যায় অপরাধ ও সামাজিক মূল্যবোধ বর্জিত কাজ থেকে দূরে রেখে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পথ চলতে সাহায্য করে। আইনের ভয়ে মানুষ দুর্নীতি থেকে বিরত থাকে। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমনের জন্য আইনের সংশোধন করতে হবে এবং সর্বত্রই যাতে আইনের শাসন কার্যকর হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ : বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। অধিক জনসংখ্যার কারণে দুর্নীতির প্রবণতা বেড়ে যায়। সুশৃঙ্খল জনগোষ্ঠী দুর্নীতি মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। কিন্তু অধিক জনসংখ্যার সকলেই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় না ফলে কেউ কেউ কুশিক্ষায় প্রভাবিত হয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন ভৌগোলিক সীমা, প্রশাসন ব্যবস্থার সাথে সংগতিপূর্ণ একটি জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী এই সকল অবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না বলে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও দারিদ্র্য বিরাজ করে যা দুনীর্তিতে সহায়ক হয়। তাই বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন করার জন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য।

গণ মাধ্যমের ভূমিকা : গণ মাধ্যম দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র, চলচ্চিত্র প্রভৃতি গণ মাধ্যমগুলো দুর্নীতি বিরোধী অনুষ্ঠান নির্মাণ করে প্রচার করলে মানুষ দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। আর এ থেকে দুর্নীতির পরিমাণ কমতে পারে। গণ মাধ্যমে দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব এবং অপরাধীদের সামাজিকভাবে বয়কট করলে দুর্নীতি অনেকাংশে হ্রাস পায়। 

উপসংহার : দুর্নীতি আমাদের সমাজ জীবনের অস্থিমজ্জার সাথে একাকার হয়ে গেছে। ফলে দুর্নীতিকে আমাদের কাছে আর দুর্নীতি বলে মনে হয় না। কিন্তু এভাবে চলতে পারে। কারণ এসব কারণে বিশ্বের কাছে মাথা তুলে দাঁড়ানো যাবে না। তাই সমাজের সব স্তর থেকে দুর্নীতি দূর করার আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন ।
Next Post Previous Post