বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একজন বক্তা হিসেবে একটি ভাষণ রচনা কর

বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একজন বক্তা হিসেবে তোমাকে ভাষণ দিতে হবে। ভাষণটি তৈরি কর।

বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একজন বক্তা হিসেবে তোমাকে ভাষণ দিতে হবে। ভাষণটি তৈরি কর।

মাননীয় সভাপতি এবং সম্মানিত সুধী-

আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। এ মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে রবীঠাকুরের সেই বিখ্যাত ‘বৈশাখ বন্দনা গীতি—
“এসো হে বৈশাখ এসো এসো
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে, মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে
বছরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক
যাক এসো এসো।”

পৃথিবীর চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী কালচক্রের প্রবাহমানতায় একটি বছর আমাদের জীবন থেকে ঝরে গেল। শুরু হল নতুন বছর, জীবনের নতুন হিসেব। আজ নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর দিন। গত বছরের সকল ব্যর্থতা, না পাওয়ার বেদনাকে আজ ভুলে যাওয়ার দিন। নববর্ষ মানে নতুন আশায় বুক বাঁধার দিন। নববর্ষ আমাদের মাঝে চির নতুনের ডাক নিয়ে আসে। পুরাতনকে ভুলিয়ে সাফল্যকে ছিনিয়ে নেয়ার মন্ত্র আমাদের শিখিয়ে দেয়।

নববর্ষ বৈশাখের রুদ্ররূপ নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়। এর রুদ্রতা পুরাতনকে, জীর্ণতাকে ভেঙে দেয়ার রুদ্রতা। পৃথিবীর এ খেলা চির পুরাতন, কিন্তু তারপরও তা আমাদের কাছে চির নতুন হিসেবে মনে হয়। যে নতুনের পূজারি আমরা নববর্ষ সে নবীন রূপেই আমাদের কাছে ধরা দেয়। নববর্ষের এ নবনীতাকে হৃদয়ে ধারণ করে আমরা যেন ক্রমাগত সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারি সে শপথ আজ আমাদের নিতে হবে। নববর্ষ শক্তি অর্জনের প্রেরণা হিসেবে আমাদের মাঝে আসে। তা যেন আমরা অর্জন করতে পারি। নববর্ষের নতুন সূর্যালোকে উদ্ভাসিত হয়ে আমরা যে, আগামীকে সার্থক করে তুলতে পারি।

নববর্ষ আমাদের নবজীবনের দ্বার উন্মোচন করে দেয়। আমাদের মাঝে নববর্ষ প্রাণের জোয়ার সৃষ্টি করে। আর সে জন্যই আমরা আজ পুলকিত, নব সাজে সজ্জিত। তবে এ সাজ, এ সজ্জা তখনই সার্থক হবে যখন আমরা সফলতার পথে এগিয়ে যেতে পারব। তা নাহলে শুধু ঐতিহ্যের ধারা পালনই আমাদের জন্য সার হবে। কিন্তু আমরা তা চাই না, আমরা চাই সর্বাঙ্গীন সফলতা। নববর্ষে আমাদের সে শপথ নিতে হবে। বাংলা নববর্ষ আমাদের সকল মানুষের মুখে অফুরন্ত হাসি বয়ে আনুক ফুটাক হাসি এ কামনা করে আজকের মত শেষ করছি। 

আল্লাহ হাফেজ ।

Next Post Previous Post