প্রবন্ধ রচনা : আধুনিক জীবন ও বিজ্ঞান

মানব কল্যাণে বিজ্ঞান
অথবা, আধুনিক জীবন ও বিজ্ঞান

অনুসারী রচনা : দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান/ বিজ্ঞানের জয়যাত্রা

ভূমিকা : বিজ্ঞানের বেদীমূলে প্রোথিত মানবসভ্যতার শেকড়। যেদিন মানুষ আগুন আবিষ্কার ও তার ব্যবহারে দেখিয়েছে পারঙ্গমতা সেদিন থেকে শুরু হয়েছে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। মানুষ তার জীবনকে সহজ করার জন্য হাতের বদলে হাতিয়ার ব্যবহারে সফল হয়েছে বিজ্ঞানের দৌলতে। এরপর বহু যুগ-যুগান্তরের অজস্র মানুষের স্বপ্ন ও সাধনার সরণি বেয়ে বিজ্ঞান আজ সর্বজয়ী রূপে আবির্ভূত। মানবসভ্যতা আজ বিজ্ঞানময়। বিজ্ঞানের আশীর্বাদ ছাড়া বর্তমান দুনিয়ার একটি মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। বিজ্ঞানের কল্যাণস্পর্শে জীবনের সর্বক্ষেত্র হয়েছে সহজ ও আনন্দমুখর; মানবসভ্যতা হয়েছে সমৃদ্ধ ।

বিজ্ঞানহীন যুগ : বিজ্ঞানহীন যুগে ছিল গুহাবাসী; পশুর সঙ্গে ছিল না কোনো প্রভেদ। প্রকৃতি ও পরিবেশ ছিল মানুষের জন্য চরম বৈরী ভয়ানক অসহায় মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়েছে চরম বৈরী শক্তির সঙ্গে নিরন্তর লড়াই করে । জান্তব শক্তির সঙ্গে হাতাহাতি লড়াইয়ে কখনো বিজয়ী হয়েছে মানুষ, শত্রুর কাচা-মাংসে করেছে উদরপূর্তি, আবার কখনো নিজেই হয়েছে হিংস্র প্রাণীর খাবার। বৈরীশক্তির প্রতিনিয়ত লড়াই থেকে মানুষ অর্জন করেছে অভিজ্ঞতা, কালক্রমে সেই অভিজ্ঞতা পরিণত হয়েছে জ্ঞানে; আর জ্ঞান বিশেষায়িত হয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে বিজ্ঞানে। কোনোমতে বেঁচে থাকার আদিম লড়াইয়ে মানুষের কাছে সুখের পরশ ছিল সুদূর পরাহত। বিজ্ঞান মানুষের অসহায়ত্বে জুগিয়েছে দুর্বার শক্তি, সুখহীন জীবনে বইয়ে দিয়েছে সুখের ফোয়ারা।

মানব কল্যাণে বিজ্ঞান

সমাজ ও জীবনে বিজ্ঞানের দান : মানবজীবনে বিজ্ঞানের দান অপার ও বিস্ময়কর। আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত বিজ্ঞানের নানা উপকরণের সঙ্গে লগ্ন। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের অনিবার্য প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবনে ও সমাজে; ক্রমাগত বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তাধারা ও জীবনায়ন। গৃহে বা বাইরে, কর্মস্থলে বা বিনোদন কেন্দ্রে, পথে বা মাঠে সর্বত্র বিজ্ঞান আমাদের ছায়াসঙ্গী। বিজ্ঞানের পরিচর্যায় আমাদের জীবন হয়েছে সহজ, অনায়াস ও সুন্দর। বৈদ্যুতিক বাতিতে আমাদের ঘর যে আলোময় আর বৈদ্যুতিক পাখার ঘূর্ণনে ঘর যে শীতল হয়ে ওঠে তাতে বিজ্ঞানের দান শতভাগ। এভাবে বিজ্ঞানের কল্যাণে বেতার ও টিভি যোগে জেনে নিতে পারি দেশ-বিদেশের হালচালের খবর; টেলিফোন, মোবাইল, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অতি সহজে সেরে নিতে পারি দূরবর্তী আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বা কর্ম-সম্পর্কিত মানুষের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষার কাজটি। কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কম্পোজ হচ্ছে অনায়াসে; আর তা সংরক্ষিত হচ্ছে অত্যন্ত নির্ভরতার সঙ্গে । প্রয়োজনমতো এ সকল তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে আদান-প্রদান করাও সম্ভব হচ্ছে অতি সহজে। জল, স্থল ও আকাশপথে অনায়াসে ও দ্রুততার সঙ্গে চলাচল ও মালামাল পরিবহন সম্ভব হচ্ছে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর সব আবিষ্কারের কারণে। বিজ্ঞান আমাদের নিস্তরঙ্গ ও স্থবির জীবনে এনেছে গতি; বিজ্ঞানের সহযোগে আমাদের জীবনে এসেছে স্বাচ্ছন্দ্য।

প্রতিদিনের জীবনে বিজ্ঞান : প্রভাতের শয্যা ত্যাগ হতে নিশীথের শয্যা গ্রহণ পর্যন্ত আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত বিজ্ঞানের সুরে বাঁধা। বেঁধে দেওয়া সময়ে এলার্ম ঘড়ির ছন্দময় ঝংকারে যথারীতি আমাদের ঘুম ভাঙে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে আমরা যে টয়লেটটিতে প্রবেশ করি তা বিজ্ঞানের পরিচর্যায় সাজানো-গোছানো পরিপাটি। বিজ্ঞানের বদৌলতে প্রয়োজন অনুসারে ঠাণ্ডা বা গরম পানির প্রবাহ আমাদের সামনে এসে হাজির হয়। দাঁত মাজার ব্রাশ আর পেস্ট বিজ্ঞানেরই দান। গ্যাসের চুলায় বা ইলেকট্রিক হিটারে তৈরি হয় গরম চা; ফ্রিজে সংরক্ষিত নাস্তা ওভেনের কল্যাণে অতি সহজেই খাবার উপযোগী হয়ে ওঠে। বাজারে প্রতিদিন দৌড়াতে হয় না; ফ্রিজেই সংরক্ষণ করা যায় গৃহের প্রয়োজনীয় খাদ্য সম্ভার। বিজ্ঞানের দৌলতে ছাপাখানা থেকে হাজারো সংবাদ গায়ে মেখে প্রতিদিন দরজার নিচ দিয়ে ঢুকে সংবাদপত্র। ইস্ত্রি করা পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি জামায় সেজে কর্মস্থলের দিকে যাত্রা করতেই দরজার সামনে লিফট উপস্থিত। লিফট থেকে নামতেই ব্যক্তিগত মোটর গাড়ি দরজা খুলে দাঁড়িয়ে। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই, তাদের জন্য আছে বাস, ট্যাক্সি, ট্রেন, রিকসা ইত্যাদি বাহন। পথ শেষে ঝলমলে আলোয় স্বাগত জানায় কর্মক্ষেত্র; সেটিও আবার বিজ্ঞানের বিচিত্র উপচারে সাজানো। টাইপরাইটার ও কম্পিউটারে টাইপ হয় প্রয়োজনীয় ফাইল ও চিঠিপত্র এবং কম্পিউটারের সাহায্যে রক্ষিত হয় সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম হিসাব। কর্মব্যস্ত অফিস শেষে ছুটির পর বিনোদনের জন্য রয়েছে সিনেমা, ভিসিআর, স্যাটেলাইট টিভি ইত্যাদি । ক্লান্ত দেহটি এলিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে আরামের বিছানা। ঘুমকে নির্বিঘ্ন করার জন্য আছে শীততাপ যন্ত্র, নিদেনপক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা। এভাবে বিজ্ঞানের সঙ্গে আমাদের প্রতিদিনের জীবনের গাঁটছড়া বাঁধা।

শুধু শহুরে জীবন নয়, গ্রামীণ জীবনও বিজ্ঞানের ছন্দে বাঁধা। নাগরিক জীবনের সুযোগ-সুবিধাগুলো গ্রামের দিকেও প্রসারিত। বৈদ্যুতিক বাতিতে গ্রামের ঘরগুলো উজ্জ্বল, মোবাইল ফোন সকলের হাতে হাতে, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলো আজ গ্রামের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে গ্রামীণ মানুষের হাতের মুঠোয় আজ পৃথিবীর তথ্যবিশ্ব । মান্ধাতার আমলের কৃষিব্যবস্থায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কৃষক জমিচাষে গরুর হালের বদলে ব্যবহার করছে ট্রাক্টর, আবহাওয়া নির্ভরতা কমিয়ে উন্নত সেচব্যবস্থার আশ্রয় নিচ্ছে, উচ্চ ফলনশীল বীজ ব্যবহার করছে, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে অধিক ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে বিজ্ঞানের আশীর্বাদে। বিজ্ঞানের বদৌলতে শহর-গ্রামের ব্যবধান ও দূরত্ব তুলনামূলকভাবে কমে গেছে ।

বিচিত্র ক্ষেত্রে বিজ্ঞান : জগৎ ও জীবনের এমন কোনো অঙ্গন নেই যেখানে বিজ্ঞানের প্রবেশ ঘটেনি। খনির অন্ধকারে বিজ্ঞান আলো ফেলেছে, আকাশে উড়িয়েছে তার বিজয় নিশান, মহাশূন্যে পাঠিয়েছে পৃথিবীর দূত। বিজ্ঞানের কল্যাণে দূরের নক্ষত্রলোকের খবর পেয়েছে গ্রহলোকের মানুষ। বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মানুষ উদ্দাম নদী স্রোতকে বশীভূত করে নিয়ে গেছে ঊষর মরু- প্রান্তরে, মরুর পাথুরে বুকে জাগিয়েছে প্রাণের স্পন্দন। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে বাষ্পীয় শক্তি মানুষের বশীভূত, পারমাণবিক শক্তি মুঠোয় বন্দী, আকাশের বিদ্যুৎ বাতির ভেতরে প্রশান্ত। বিজ্ঞানের বদৌলতে স্থল পথে ছুটছে ট্রেন, মোটর; গভীর সমুদ্রে ঢেউয়ের বুক ভাঙে জাহাজ; আকাশ তোলপাড় করে উড়ে চলে শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী বিমান; অসীম মহাশূন্যে পাড়ি দেয় ছোট কোনো নভোযান। কারখানায় তৈরি হচ্ছে জীবনের জন্য প্রয়োজনের আর উপভোগের বিচিত্র সামগ্রী, বসবাসের জন্য তৈরি হচ্ছে হরেক রকমের দালান। ঘরের ভেতরে রান্না করার চুলা, মশলা গুঁড়ো করার গ্রাইন্ডার, মাছ- মাংস-সবজি কাটা ও প্রক্রিয়াকরণের বিচিত্র উপকরণ, রাইস কুকার, খাবার সংরক্ষণের ফ্রিজ, খাবার গরম করার ওভেন, কাপড় ধোয়ার মেশিন, ঘর শীতলীকরণের এসি- জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যদানকারী সকল সামগ্রীই আমাদের জন্য বিজ্ঞানের উপহার। বিজ্ঞানের যাদুস্পর্শে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এসেছে বিপ্লব। কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষ্মা, বসন্তের মতো যেসব রোগ মহামারীরূপে জনপদের পর জনপদ নিশ্চিহ্ন করে দিত সেসব এখন মামুলি রোগে পরিণত হেেছ। টীকা আবিষ্কারের মাধ্যমে মারাত্মক সব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে; অনেক রোগের মৃত্যুঘণ্টা ঘোষণা করেছে বিজ্ঞান। নানা ধরনের সূক্ষ্ম ও জটিল অপারেশন হচ্ছে অহরহ। বাইপাস সার্জারি আর হৃৎপিণ্ড পরিবর্তন এখন আর যাদু নয়। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে নির্ভুলভাবে রোগ নির্ণয় আর অস্ত্রোপচারের কাজ অনায়াসে সাধিত হচ্ছে। মরণঘাতী ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়েছে, এইডস নিরাময়ের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা-বিজ্ঞানীরা। কৃষি ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের অবদান অপরিসীম। উচ্চ ফলনশীল বীজ উদ্ভাবন, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। কোনো প্রকার হাতের স্পর্শ ছাড়াই যান্ত্রিক কলাকৌশল ব্যবহার করে জমি তৈরি থেকে শুরু করে ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ পর্যন্ত সকল কাজ অনায়াসে সাধিত হচ্ছে। বিজ্ঞান যোগাযোগ ব্যবস্থায় এনেছে বিপ্লব। জল-স্থল-আকাশ পথের দ্রুতগতির বাহনের পাশাপাশি টেলিফোন, টেলিগ্রাম, ফ্যাক্স, টেলিপ্রিন্টার ইত্যাদি তৈরি করে বিশ্বকে পুরেছে হাতের মুঠোয়। কম্পিউটার আর ইন্টারনেটের বদৌলতে বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত আজ কম্পিউটারের সঙ্গে হাতের আঙ্গুলের স্পর্শের দূরত্বে। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে শিক্ষার্থীর শিক্ষাঙ্গন আজ বিশ্বময় বিস্তৃত। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই শিক্ষক লেকচার দিতে পারেন, শিক্ষার্থী যে কোনো বই অতি সহজেই সংগ্রহ করে নিতে পারে ইন্টারনেটের সহযোগিতায়, গোগল সার্চ দিলেই শিক্ষার্থীর সামনে উন্মোচিত হয় জ্ঞানের অপার দিগন্ত। পরীক্ষা-কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীকে হাজির হতে হয় না, ঘরে বসেই অংশগ্রহণ করতে পারে পৃথিবীর যে কোনো দেশের পরীক্ষায়। প্রযুক্তির ব্যবহারে অফিসের কর্ম-পরিবেশ হয়েছে উন্নত, কাজে এসেছে গতি এবং নিপুণতা। ব্যবসা-বাণিজ্যও আজ প্রযুক্তি-নির্ভর, সকল প্রকার হিসাব-নিকাশ ও লেন- দেনের কাজ কম্পিউটার আর অনলাইনেই সম্পন্ন হচ্ছে। সারাদিনের কর্ম-ক্লান্ত দেহ ও মনের জন্য বিনোদন প্রয়োজন— তারও ব্যবস্থা করে রেখেছে বিজ্ঞান। সিনেমা, টেলিভিশন হাতের নাগালেই। ডিশ-এন্টেনার সহযোগে হাতের রিমোটেই ঘুরে তামাম দুনিয়ার বিনোদন জগৎ। এসবই হলো বিজ্ঞানের ম্যাজিক ।

বিজ্ঞানের অভিশপ্ত দিক : বিজ্ঞানের অপরিসীম কল্যাণকর দিকের বিপরীতেই লুকিয়ে আছে এর ভয়ংকর অন্ধকার দিক। বিজ্ঞানের বদৌলতে পৃথিবীর ভাণ্ডারে জমা হয়েছে মারাত্মকসব মারণাস্ত্র। শুধু একটি পারমাণবিক বোমার আঘাতে মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যেতে হাজার বছরে গড়ে ওঠা একটি সমৃদ্ধ জনপদ, নির্বিচারে নিহত হতে পারে হাজার হাজার মানুষ। ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা, নাগাসাকিতে বিজ্ঞানের মানববিধ্বংসী তাণ্ডব বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্য বিশেষত ফিলিস্তিন, ইরাক, সিরিয়ায় যে মানবতা-বিরোধী তাণ্ডব চলছে তা বিজ্ঞানের কদর্যতম দিকটিকেই আমাদের সামনে উন্মোচন করে। তবে মনে রাখতে হবে, এর দায় বিজ্ঞানের নয়, কিছু সংখ্যক মানুষের সীমাহীন লোভই এর জন্য দায়ী। মানুষের মধ্যে শুভবোধের উদয় হলেই বিজ্ঞান হবে মানুষের জন্য অপরিসীম কল্যাণের দূত।

উপসংহার : বিজ্ঞানের অভিযান আজ সর্বত্র; জল-স্থল-অন্তরীক্ষ জয়ে এর সীমাহীন উদ্দীপনা। পৃথিবীর বুকে মানুষের রাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিজ্ঞানের বদৌলতে, বিজ্ঞানের হাত ধরেই মানুষ জয় করতে চায় দুর্জয়কে। মনে রাখতে বিজ্ঞান স্বয়ংক্রিয় কিছু নয়, পুরোটাই মানুষের মস্তিষ্কের ব্যাপার; বিশ্বময় ছড়িয়ে থাকা গূঢ়-রহস্য উদ্ঘাটনের মানবিক প্রয়াস। বিজ্ঞানের বিশ্বে নিজেকে বিজ্ঞান-মনস্ক হতে হবে, বিজ্ঞানের প্রতি ও বিজ্ঞানের ব্যবহারে সদর্থক হতে হবে। তবেই বিজ্ঞান হবে পরিপূর্ণরূপে মানুষের।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url