ব্যাকরণ ভাষাকে নিয়ন্ত্রণও করে না, নির্মাণ ও করে না তবুও ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না—বিষয়ক আলোচনা

ব্যাকরণ ভাষাকে নিয়ন্ত্রণও করে না, নির্মাণও করে না তবুও ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না—বিষয়ক আলোচনা
ব্যাকরণ ভাষাকে নিয়ন্ত্রণও করে না, নির্মাণও করে না তবুও ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না—বিষয়ক আলোচনা

ভাষা ব্যাকরণ অনুসরণ করে না, ব্যাকরণই ভাষাকে অনুসরণ করে আলোচনা কর।
অথবা, ভাষার অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আবিষ্কারের নামই ব্যাকরণ আলোচনা কর। 
অথবা, ব্যাকরণ ভাষাকে নিয়ন্ত্রণও করে না, নির্মাণও করে না তবুও ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না—আলোচনা কর


উত্তর :ভাষা মনের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম যা বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত অর্থবােধক বা বােধগম্য কথা । ভাষা শুধু ভাব বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয় বলেই ব্যাকরণের ধার ধারে না। ভাষাকে সচেতনভাবে ব্যবহার করতে গেলে ব্যাকরণের আশ্রয় নিতে হয় ।

ভাষার উচ্চারণ মাধ্যম ধ্বনি আর ভাষার লিখিত মাধ্যম হলাে বর্ণ-শব্দ-বাক্য যা নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলে । অথবা, যে নিয়মে ভাষাকে সুন্দর, শুদ্ধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করা যায় এবং ভাষার স্বরূপ, প্রকৃতি ও প্রয়ােগরীতি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যায় তাই ব্যাকরণ । ভাষাকে শুদ্ধভাবে পড়তে, বুঝতে, লিখতে ও বলতে ব্যাকরণ জানা আবশ্যক। মনের ভাব প্রকাশ করতে ভাষা জানলে চলে, এক্ষেত্রে ব্যাকরণ অত্যাবশ্যক নয়। তাই বলা হয়, ভাষা ব্যাকরণ অনুসরণ করে না, ব্যাকরণই ভাষাকে অনুসরণ করে। ব্যাকরণ ভাষার ধ্বনি, বর্ণ ও বাক্যের বিভিন্ন নিয়ম-নীতির মধ্যে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখে বলে বলা হয়, ভাষার অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আবিষ্কারের নামই ব্যাকরণ । ব্যাকরণ ভাষাকে নিয়ন্ত্রণও করে না, নির্মাণও করে না। ভাষার গতিবিধি লক্ষ করে ভাষাকে বিশ্লেষণ, সন্দর শুদ্ধ ও শঙ্খলাবােধ করতে সাহায্য করে, উচ্চারণ সঠিক এবং বানান প্রমিত করতে সাহায্য করে, ছন্দ ও অলংকারের সঠিক প্রয়ােগ পদ্ধতি শিখতে সাহায্য করে, ভাষাকে শুদ্ধভাবে পড়তে, বুঝতে, লিখতে ও বলতে সাহায্য করে, ভাষার মৌলিক উপাদান অর্থাৎ ভন শব্দ ও বাক্যের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সাহায্য করে, ভাষার প্রকৃতি স্বরূপ নির্ণয়, গঠন ও প্রয়ােগবিধি সম্পর্কে জানতে চায়। করে বলেই ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না।
Next Post Previous Post