সারমর্ম, সারমর্মের প্রয়ােজনীয়তা, সারমর্ম লিখন-কৌশল

সারমর্ম, সারমর্মের প্রয়ােজনীয়তা, সারমর্ম লিখন-কৌশল
সারমর্ম, সারমর্মের প্রয়ােজনীয়তা, সারমর্ম লিখন-কৌশল

সারমর্মসাধারণত সারমর্ম, সারাংশ ও সারসংক্ষেপ সমার্থক শব্দ হলেও আঙ্গিকগত কিছুটা ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় । পদ্যসাহিত্যে নানাবিধ ছন্দ, অলংকার ব্যবহারের ফলে অনেক সময় মূলবক্তব্য উদ্ধার করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। এজন্য সহজ-সরল ভাষায় মূল ভাবটি উপস্থাপন একান্ত প্রয়ােজন । কবিতার মূল ভাবটিকে সারমর্ম বলা হয়।

সারমর্মের প্রয়ােজনীয়তা 

সারমর্মে মূল বিষয়বস্তুকে সহজেই ধারণ করা যায়। সাধারণত কবি-সাহিত্যিকগণ তাদের সৃষ্টির প্রয়ােজনে নানাবিধ প্রসঙ্গ, উপমাঅলংকার ব্যবহার করেন। তাতে অনেক সময় মূল বিষয় গৌণ হতে পারে; অন্যদিকে অন্যান্য প্রসঙ্গ মুখ্য হতে পারে। এরূপ আলােআঁধারি থেকে পাঠকের মুক্তির অন্যতম পথ হলাে সারমর্ম । এছাড়া স্বল্প সময়ে একটি বিষয় সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা গ্রহণে সারমর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । সারমর্ম উপলব্ধির মধ্য দিয়ে চুম্বকীয় অংশগুলাের সহজেই প্রয়ােগ ঘটানাে সম্ভব।

সারমর্ম লিখন-কৌশল

 ১. প্রদত্ত পদ্যাংশটুকু বারবার পড়ে এর মূল কথাটি অর্থাৎ মূল ভাবটি অনুধাবন করতে হবে।
২. বক্তব্যটি সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা নেওয়ার পর অপ্রধান কথাগুলাে বাদ দিতে হবে ।
৩. সারমর্ম সহজ-সরল ভাষায় লিখতে হবে ।
৪. কোনাে ব্যক্তিগত মতামত এখানে লেখা সমীচীন নয়।
৫. বক্তব্যে মূল বিষয়টি যেন বাদ না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে ।
৬. প্রদত্ত অংশটুকুর চেয়ে সারমর্ম যেন অতি ছােটো কিংবা বড়াে না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
৭. সর্বোপরি বিষয়ানুসারে মূলবক্তব্য সংক্ষেপে তুলে ধরতে হবে।
৮. উপমা, নমুনা এবং অনুচ্ছেদের কোনাে বাক্য সরাসরি গ্রহণ করা যাবে না।

Next Post Previous Post