অনুচ্ছেদ রচনা : বাংলাদেশের পোশাক শিল্প
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প
বাংলাদেশের অর্থনীতর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত পোশাক শিল্প। ‘পোশাককন্যা’ নামটি পোশাকশিল্পের কারণেই আজ এত বিখ্যাত। কারণ বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে সবচাইতে বেশি শ্রম দেয় নারীরাই। বাংলাদেশের শিল্পায়নে এই তৈরি পোশাকশিল্প বর্তমানে বিরাট ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের শিল্পায়ন শুরু হয়েছে শিল্প বা পোশাকশিল্পের মাধ্যমে। তৈরি পোশাক বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রধান খাত হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। স্বাধীনতার আগে আমরা যখন পশ্চিম পাকস্তানিদের অধীনে ছিলাম তখন পোশাকশিল্প নিয়ে তেমন উৎসাহ- উদ্দীপনা ছিল না। মূলত ১৯৭৬ সাল থেকেই এদেশে পোশাকশিল্পের যাত্রা শুরু হয়। দেশের তৈরি পোশাকশিল্প জাতীয় আয়ের ৬৪ শতাংশ সরবরাহ করছে। বর্তমানে প্রায় ১২ লক্ষ নরনারী পোশাকশিল্পে কর্মরত। তার মধ্যে ৮৫ শতাংশ নারী T আমাদের পোশাক বিদেশে রপ্তানি করা হয়। বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের স্থান পঞ্চম। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের সবচেয়ে বড় ক্রেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই ইউরোপ ও কানাডা। বিশ্বের ১২২টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি করা হয়। এর বাজার যেমন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি এর উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বেকার সমস্যা সমাধান, দ্রুত শিল্পায়নে পোশাকশিল্পের ভূমিকা বিরাট। কিন্তু আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও মুক্ত বাজারের চাপ এ শিল্পকে বেশ খানিকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখেছে। বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল ।
এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা ও সম্প্রসারণ করা দরকার । বর্তমান সরকার এই শিল্পের বিকাশে নানারকম সুবিধা ও উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন। বাণিজ্য মেলার আয়োজন করছেন এবং বাংলাদেশকে এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত করাসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।