অনুচ্ছেদ রচনা : জ্যোৎস্না রাতে

জ্যোৎস্না রাতে

জ্যোৎস্না রাতে

চন্দ্রালােকিত রাতের অপরূপ শােভা দেখা ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। ঘটনাচক্রে এক রাতে জ্যোত্সার রূপ-মাধুরী অবলােকন করে আমি বিস্মিত। জ্যোত্সার সৌন্দর্যের এমন অপূর্ব রূপ আমি আমার ক্ষুদ্র জীবনে আর কখনাে অনুভব করিনি। 

ঝিরিঝিরি বাতাস, নির্জন সন্ধ্যা। গ্রামের পথঘাটে কোথাও প্রাণের আভাস মাত্র নেই। বৌদ্ধপূর্ণিমার রাত। চাঁদ যেন তার অপূর্ব শুভ্র আলাে ঢেলে দিচ্ছে পৃথিবীর বুকে। সমস্ত নিসর্গ যেন জ্যোত্সার শুভ্রতায় আত্মলীন হয়ে গেছে। চাঁদের স্নিগ্ধ আলােয় প্রকৃতির এই শােভা দেখে আমি অভিভূত। মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের সেই গানের কলি—‘আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে/বসন্তেরই মাতাল সমীরণে। বনের ভেতরে দাঁড়িয়ে জ্যোৎস্নার প্রকৃতি অনুভব করা ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। 

‘আয় আয় চাঁদ মামা’ বলে ছােটবেলা থেকে আমাদের সঙ্গে চাঁদের নিবিড় আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে তােলা হয়। চাঁদ যেন জীবনে সিন্ধতার আলাে ছড়ায়। কবি-সাহিত্যিকরা চাঁদকে নিয়ে লিখেছেন মরণীয় কত কবিতার পঙক্তি। এভাবে চাঁদ আর জ্যোৎস্না মানবজীবনে অমলিন হয়ে আছে। 

জ্যোৎস্না রাতে প্রকৃতিকে খুব মায়াবী দেখায়। চারদিকে জ্যোস্নার শুভ্রতা, নদীতীরে দিগন্তজোড়া প্রান্তরে দাঁড়ালে যে-কোনাে মানুষের মনে স্নিগ্ধতার বােধ জন্মে। আনন্দে ভরে যায় সারা মন।


Next Post Previous Post