বাংলা রচনা : বাংলা উপন্যাস

বাংলা উপন্যাস
বাংলা উপন্যাস

বাংলা উপন্যাস
অথবা, বাংলাদেশের উপন্যাস 

[সংকেত : ভূমিকা; বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের উদ্ভব; উপন্যাস; বাংলা উপন্যাসের প্রাথমিক পর্যায়; বাংলাদেশের উপন্যাসের গতিপ্রকৃতি; বাংলাদেশের উপন্যাসের কালগত বিভাজন; বাংলাদেশের সাহিত্যে উপন্যাসের ধারা, উপন্যাস ও ঔপন্যাসিক; উপসংহার।]

ভূমিকা : উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের একটি অন্যতম জনপ্রিয় শাখা । বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। উনিশ শতকের প্রথম ভাগে বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের উৎপত্তি ও বিকাশ শুরু হয়। সাহিত্য একটি জাতির দর্পণ। আর উপন্যাস জীবন বাস্তবতাকে অধিক নিখুঁতভাবে ধারণ করে। তাই বর্তমানে উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে একটি শক্তিশালী ধারায় পরিণত হয়েছে। উপন্যাসকে কথাসাহিত্যের প্রাণ বলা হয়ে থাকে । 


বাংলা সাহিত্যে উপন্যাসের উদ্ভব : বাংলা সাহিত্যে উপন্যাস সম্পূর্ণরূপে আধুনিককালের সৃষ্টি। পাশ্চাত্যের দেশগুলােতেও উপন্যাসের আবির্ভাব আধুনিককালে তথা আঠারাে শতকের শেষ পর্যায়ে। বাংলা উপন্যাস পাশ্চাত্য আদর্শের প্রভাবেই রূপলাভ করেছে । উনিশ শতকের পূর্বে আধুনিক ইংরেজি ‘Novel'-এর সংস্পর্শহীনতা এবং বাংলা গদ্যের অনুন্নত রূপের জন্য বাংলা উপন্যাস সৃষ্টি বিঘ্নিত হচ্ছিল। ইংরেজদের আগমনে ইংরেজি শিক্ষায় পাশ্চাত্য সাহিত্যের সঙ্গে সংযােগ সাধনের ফলে বাংলা উপন্যাস সৃষ্টির সূত্রপাত হয়। অপরদিকে, উপন্যাসের উপযুক্ত বাহন গদ্যের অভাব বিদূরিত হয় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকগােষ্ঠী কর্তৃক গদ্যরীতির চর্চার প্রবর্তনায় । তাই উনবিংশ শতাব্দীর প্রাথমিক পর্যায়ে গদ্যসৃষ্টি শুরু হলে বাংলা সাহিত্যে উপন্যাস সৃষ্টির পথ সুগম হয় । ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রবর্তিত গদ্যরীতির মধ্যে প্রথম সাহিত্যিক গদ্যের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় এবং তা পরবর্তী সময়ে উপন্যাসের উপযুক্ত বাহন হয়ে ওঠে।


উপন্যাস : উপন্যাস আধুনিককালের একটি বিশিষ্ট শিল্পরূপ। উপন্যাসের আক্ষরিক অর্থ হলাে উপযুক্ত বা বিশেষ রূপে স্থাপন । অর্থাৎ উপন্যাস হলাে কাহিনি-রূপ একটি উপাদানকে বিবৃত করার বিশেষ কৌশল, পদ্ধতি বা রীতি। উপময় বা উপন্যস্ত শব্দ থেকে উপন্যাস শব্দের উৎপত্তি, যা ইংরেজি Novel শব্দের পরিভাষারূপে গৃহীত । Novel শব্দের আভিধানিক অর্থ হলাে— a fictitious prose narrative of tale presenting picture of real life of the men and women portrayed oparts TOP BOOT SICOS লিখিত এমন এক বিবরণ বা কাহিনি, যার ভেতর দিয়ে মানব-মানবীর জীবনযাপনের বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়ে থাকে। উপন্যাস রচনার ক্ষেত্রে ব্যক্তিচেতনা ও সমাজচেতনা অপরিহার্য উপন্যাসের সংজ্ঞার্থ দিতে গিয়ে শ্রীশচন্দ্র দাশ তাঁর সাহিত্য সন্দর্শন’ গ্রন্থে বলেছেন- লেখকের ব্যক্তিগত জীবনদর্শন ও জীবনানুভূতি কোনাে বাস্তব কাহিনি অবলম্বন করে যে বর্ণনাত্মক শিল্পকর্মে রূপায়িত হয়, তাকে উপন্যাস বলে।' সাহিত্যিক রূপকর্ম হিসেবে উপন্যাসের আকৃতি ও প্রকৃতি বিচিত্র। এজন্য জনৈক সমালােচক বলেন- 'No doubt each great man creates his own form but no novelist has yet created one' ।


বাংলা উপন্যাসের প্রাথমিক পর্যায় : উনবিংশ শতাব্দীতে ইউরােপীয় উপন্যাসের অনুকরণে বাংলা উপন্যাসের জয়যাত্রা শুরু হয় । ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নববাবু বিলাস’-এ প্রথম উপন্যাসের ইঙ্গিত পাওয়া যায় । হ্যানা ক্যাথরিন মুলেন্স-এর ‘ফুলমনি ও করুণার বিবরণ; প্যারীচাঁদ মিত্রের ‘আলালের ঘরের দুলাল'- এ উপন্যাসের ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হয় । ১৮৬৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে রচিত হয় বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী'। বঙ্কিম উত্তোর রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের হাতে বাংলা উপন্যাসের উত্তরােত্তর সমৃদ্ধি লাভ করে। পরবর্তী সময়ে অনেক প্রতিভাধর ঔপন্যাসিক বাংলা উপন্যাস সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন ।


বাংলাদেশের উপন্যাসের গতিপ্রকৃতি : বাংলাদেশের উপন্যাস হিসেবে নির্দিষ্ট সময়ের পরিধিতে যেসব গ্রন্থ রচিত হয়েছে সেগুলাে বাংলা উপন্যাসের ঐতিহ্যেরই অনুসারী । বাংলা উপন্যাসের আদিযুগে মুসলমান ঔপন্যাসিকদের অবদান ছিল না। মুসলমানরা যখন উপন্যাস রচনায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন তখন বাংলা উপন্যাসের ধারা সমৃদ্ধির নিদর্শন নিয়ে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে । সে হিসেবে তুলনামূলক বিচারে মুসলমানদের স্বতন্ত্র অবদান কিছুটা নিস্প্রভ । তবে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর বাংলাদেশের পরিসীমায় তা কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা প্রথম থেকেই লক্ষণীয় হওয়ার ফলে এখানকার উপন্যাসের ইতিহাস অনেকটা সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের উপন্যাসের ধারা যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বাংলা উপন্যাস সাহিত্য অগ্রসর হচ্ছে বলে তা নতুনতর বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক। বর্তমান বাংলাদেশের স্বতন্ত্র প্রকৃতি ও জীবন এখানকার উপন্যাসে রূপায়ণের সুযােগ দেশ বিভাগ-পূর্ব কালে অনুপস্থিত ছিল। তখন যে দুই-একটি উপন্যাসে এখানকার জীবনচিত্র অঙ্কিত হয়েছে তা সহজেই প্রশংসা পেয়েছে। তাই স্বতন্ত্র পরিবেশে এই অঞ্চলের জীবন অচিরেই উপন্যাসের উপজীব্য হয়ে উঠল। ইতােমধ্যে বাংলাদেশের জীবনে নতুনতর চেতনার সঞ্চার হয়েছে। স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে জীবনের গতিধারা বৈচিত্র্যপূর্ণ খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। তার ফলে দেখা দেয় নিত্যনতুন সমস্যা। যেহেতু উপন্যাসে বাস্তব জীবনের প্রতিফলন ঘটে সে কারণে ঔপন্যাসিকবৃন্দ প্রবহমান জীবনধারার নানাদিক অবলম্বনে সাহিত্যসৃষ্টির প্রয়াস পেয়েছেন । ড. রফিকউল্লাহ খান তাঁর 'বাংলাদেশের উপন্যাস বিষয় ও শিল্পরূপ’ গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন, মধ্যবিত্তের প্রত্যাশা-অপ্রাপ্তি, সংগ্রাম, স্বপ্ন-স্বপ্নভঙ্গ এ পর্যায়ে রচিত উপন্যাসের মূল উপজীব্য। বিকাশশীল মধ্যবিত্তের অশক্ত, অপরিণত ভিত্তি উপকরণের প্রশ্নে ঔপন্যাসিকদের করেছে গ্রামজীবনমুখী; বিষয়ভাবনায় অনিবার্য হয়ে উঠেছে। প্রগতি ও প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্বময় প্রকাশ। একদিকে সামন্ত আর্থ-উৎপাদন কাঠামাের পিছুটান, অন্যদিকে বিকাশকামী মধ্যবিত্তের কর্মোদ্যোগ, সংগ্রাম ও স্বাবলম্বন-প্রত্যাশা- এ দুয়ের অনিবার্য দ্বন্দ্ব উপন্যাসের বিষয় ও শিল্পরূপকে প্রভাবিত করেছে। গ্রামবাংলার জীবনের বৈচিত্র্যময় রূপ যেমন উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে তেমনি নাগরিক জীবনের সমস্যাও এখানে স্থান পেয়েছে। দেশবিভাগের ফলে এখানকার রাজনীতিক, আর্থনীতিক ও সামাজিক অবস্থার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে, এখানকার মানুষের জীবনে তার প্রভাব রূপায়িত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের ঔপন্যাসিকগণ এই বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনই উপন্যাসে প্রতিফলিত করতে সক্ষম হয়েছেন । বাংলাদেশের উপন্যাসে গ্রামীণ জীবন, নাগরিক জীবন, আঞ্চলিক জীবনচিত্র, মনস্তত্ত্ব, ঐতিহাসিক চেতনা ইত্যাদি বিষয় স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন প্রবল প্রভাব বিস্তার করে আছে। একুশের চেতনা জীবনের সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান। একুশের আন্দোলন বাংলাদেশের উপন্যাসের ধারায় প্রভাব বিস্তার করে এবং বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে একুশের চেতনা নিয়ে কিছু উপন্যাসও রচিত হয়েছে। 


বাংলাদেশের উপন্যাসের কালগত বিভাজন : দেশ বিভাগের পর বাংলা সাহিত্যে এক স্বতন্ত্র সাহিত্য রচনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। এ কারণে বাংলা উপন্যাসের কালগত বিভাজন রয়েছে। আর এ কালগত বিভাজনকে তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করা যায়


(i) প্রথম পর্বের উপন্যাস (১৯৪৭-১৯৫৭) 

(ii) দ্বিতীয় পর্বের উপন্যাস (১৯৫৮-১৯৭০) এবং 
(iii) তৃতীয় পর্বের উপন্যাস (১৯৭১-বর্তমান)। 

বাংলাদেশের সাহিত্যে উপন্যাসের ধারা, উপন্যাস ও ঔপন্যাসিক : স্বাধীনতাউত্তর কালে মানুষের জীবনাচরণে পরিবর্তন আসে। ফলে এদেশের মানুষের জীবনের মােড় ঘুরে যায়। বঙ্গবাসীরা বিচিত্র ও রঙিন জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। যার ফলস্বরূপ বাংলা উপন্যাসে বিভিন্ন ধারার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের উপন্যাসের বিচিত্র ধারাসমূহ হলাে : 


(i) গ্রামীণ পটভূমিতে রচিত উপন্যাস : গ্রামীণ জীবনকে কেন্দ্র করে যেসব উপন্যাসের কাহিনি আবর্তিত হয় সেসব উপন্যাসকে।গ্রামীণ পটভমিতে রচিত উপন্যাস বলে । যেমন— সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘লালসালু’, ‘কাঁদো নদী কাঁদো', 'চাঁদের অমাবস্যা', আবু ইসহাকের 'সর্য-দীঘল বাড়ি', জহির রায়হানের 'হাজার বছর ধরে', আবদুল গাফফার চৌধুরীর 'চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, শতকত ওসমানের 'জননী', আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খােয়াবনামা’, হাসান আজিজুল হকের ‘আগুনপাখি’, সৈয়দ শামসুল হকের মহাশূন্যে পরান মাস্টার’, সেলিনা হােসেনের ‘দীপান্বিতা' ইত্যাদি। 

(ii) নগর ও গ্রামের পটভূমিতে রচিত উপন্যাস : নগর ও গ্রামীণ পরিবেশের বা জীবনের আবহে যে উপন্যাস রচিত হয় তাই নগর ও গ্রামের পটভূমিতে রচিত উপন্যাস। এ জাতীয় উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে— আলাউদ্দিন আল আজাদের ক্ষুধা ও আশা, শহীদুল্লাহ কায়সারের 'সংশপ্তক', সরদার জয়েন উদ্দিনের অনেক সূর্যের আশা’, আবুল ফজলের ‘রাঙাপ্রভাত', আনােয়ার পাশার
নীড় সন্ধানী' ইত্যাদি।

(iii) নগর জীবনের পটভূমিতে রচিত উপন্যাস : নগর জীবনের পটভূমিতে রচিত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছেআবুল ফজলের ‘জীবন পথের যাত্রী', রশীদ করীমের ‘উত্তম পুরুষ ও প্রেম একটি লাল গােলাপ', আবু রুশদের সামনে নতুন দিন’, ‘আখতারুজলায় ইলিয়াসের ‘চিলেকোঠার সেপাই', শওকত আলীর দক্ষিণায়নের দিন' ইত্যাদি। 

(iv) আঞ্চলিক ও বিশেষ জীবনধারার উপন্যাস : অঞ্চল-ভিত্তিক ও বিশেষ জীবনধারার উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে আলাউদ্দিন আজ আজাদের 'কর্ণফলি’ শহীদলাহ কায়সারের 'সারেং বউ', শামসুদ্দীন আবুল কালামের কাশবনের কন্যা’ আর ইসহাকের ‘পদ্মার পলি, সরদার জয়েন উদ্দিনের ‘পান্নামতি', শওকত আলীর 'প্রদোষে প্রাকৃতজন', সেলিনা হােসেনের ‘পােকামাকড়ের কালেক, ইত্যাদি। সনসহ এ দনিক উপন্যাস : আলাউদ্দিন আল আজাদের ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র, সৈয়দ শামসুল হকের ‘দেয়ালের দেশ ও এক মহিলার ছবি', শওকত আলীর ‘পিঙ্গল আকাশ', মাহমুদুল হকের ‘খেলাঘর’ ইত্যাদি । 


(vi) ঐতিহাসিক ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস : আবু জাফর শামসুদ্দিনের ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান’ ও ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা', শামসুদ্দীন আবুল কালামের ‘আলম নগরের উপকথা', সত্যেন সেনের ‘অভিশপ্ত নগরী’, আনােয়ার পাশার ‘রাইফেল রােটি আওরাত', শওকত ওসমানের ‘জলাঙ্গী’, রিজিয়া রাহমানের ‘বং থেকে বাংলা’, মাহমুদুল হকের জীবন আমার বােন’, হাসান আজিজুল হকের ‘বিধবার কথা, সেলিনা হােসেনের 'হাঙর নদী গ্রেনেড’ ও ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা ইত্যাদি ।


(vii) স্মৃতিচারণমূলক উপন্যাস : মাহবুবুল আলমের ‘মােমেনের জবানবন্দী, আবু জাফর শামসুদ্দিনের ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান ইত্যাদি।

(vii)বিবিধ : সত্যেন সেনের রুদ্ধদ্বার মুক্তপ্রাণ’, শওকত ওসমানের ক্রীতদাসের হাসি’, ‘সমাগত', আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ‘শেষ রজনীর চাদ’, হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্যামল ছায়া’, ইমদাদুল হক মিলনের ভূমিপুত্র’, ‘নূরজাহান’ ইত্যাদি।

 এই বিভাজন ছাড়াও বাংলাদেশের ঔপন্যাসিকেরা বয়সভেদে নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে উপন্যাস রচনা করেছেন। ফলে তারা যেমন বড়ােদের জন্য উপন্যাস লিখেছেন তেমনি লিখেছেন ছােটোদের জন্যও ।

উপসংহার : বাংলাদেশের উপন্যাস বিচিত্র ধারায় বিকশিত হয়েছে। গ্রামীণ মানুষের জীবন ও শহুরে জীবন, ব্যক্তিক সংগ্রাম ও জাতিগত সংগ্রাম, ইতিহাস ও রাজনীতি- সবকিছুই বাংলাদেশের উপন্যাসে স্থান পেয়েছে। চরিত্রচিত্রণ, ভাষা, আখ্যানশৈলী ইত্যাদি। নানা দিক থেকেও বাংলাদেশের ঔপন্যাসিকেরা সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন ।
Next Post Previous Post