সিলেটে চা বাগান দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি লেখ

সিলেটে চা বাগান দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি লেখ
সিলেটে চা বাগান দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি লেখ

সিলেটে চা বাগান দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি লেখ।

সিলেটের চা বাগান 


২২ জানুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার 

পাহাড়ি টিলায় সবুজ চা বাগান ও বিচিত্র দৃশ্যের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেটের চা বাগানগুলাে। প্রায় ১৫০টি চা বাগান ছড়িয়ে আছে সিলেট জুড়ে। তাছাড়া শ্রীমঙ্গলে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ চা বাগান। দেশের একমাত্র চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআর আই। শ্রীমঙ্গলেই অবস্থিত । দীর্ঘদিন যাবৎ এই জায়গা দর্শনের ইচ্ছা থাকলেও বাস্তবে যাওয়ার সৌভাগ্য হলাে গত জানুয়ারি মাসে। ২২ জানুয়ারি সকালে আমরা মা, বাবা, ভাই-বােনসহ পুরাে পরিবার ঢাকা থেকে সিলেটে রওয়ানা হই। সকাল ১০ টার দিকে আমরা সিলেটে পৌছালাম । শ্রীমঙ্গলের একটি হােটেলে উঠলাম আমরা । ফ্রেশ হয়ে কিছু হালকা খাবার খেয়ে নিলাম । দুপুর ১২টার দিকে আমরা দেশের একমাত্র চা গবেষণা কেন্দ্র ভ্রমণে গেলাম । একজন গাইড আমাদের চা কারখানা ও টেস্টিংল্যাব দেখালেন। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির চা দেখে আমরা অভিভূত হলাম । অতঃপর আমরা একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে দুপুরের খাবার শেষ করলাম। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর পুনরায় বিটিআরআই ঘুরে দেখা শুরু করলাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করলাম । তারপর হােটেলে ফিরে গেলাম । ২৩ জানুয়ারি ২০১৭, শনিবার সকাল ৭টায় আমরা ঘুম থেকে উঠলাম। এরপর নাশতা সেরে রওয়ানা হলাম দেশের সর্ববৃহৎ চা বাগানের উদ্দেশে । চা বাগানে পৌছাতেই মন জুড়ানাে সবুজের সমারােহ দেখে মুগ্ধ হলাম। দেখলাম পাহাড়ের টিলায় সারি সারি চা বাগান । যতদূর চোখ যায় শুধ চা গাছ আর চা গাছ। আমরা বাগানের ভিতর প্রবেশ করলাম। কিছুদূর যেতে না যেতেই দেখলাম কিছু পুরুষ ও মহিলা চা পাতা সংগ্রহ করছে। আমরা সবাই মিলে অসংখ্য ছবি উঠালাম। দুপুরের দিকে আমরা চা বাগান থেকে বের হলাম । দুপুরের খাওয়া শেষে আরও কিছুক্ষণ ঘােরাঘুরি করলাম। বিকালের নাশতা শেষে আমরা সাত রঙের চা পান করলাম। আসলে শ্রীমঙ্গলের তাজা চা-এর। স্বাদই আলাদা। এই দিন রাতে আমরা সিলেটেই অবস্থান করলাম । পরের দিন আমরা ঢাকায় ফিরে এলাম । অল্প কয়েক ঘণ্টার ভ্রমণ হলেও পুরাে পরিবারসহ ঘােরাঘুরি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনের যে অপূর্ব অভিজ্ঞতা তা ভুলবার নয় ।
Next Post Previous Post